Wednesday, October 24, 2018

সিলেটে চলছে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা

সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা চলছে (ছবি : সংগৃহীত )

সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা শুরু হয়েছে। জনসভা থেকে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহগযোগ্য নির্বাচন, মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হবে। 
বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সিলেটের রেজিস্টারী মাঠে এ জনসভা শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ সভা শুরু হয়। পরে গীতাপাঠ করা হয়।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভাপতিত্ব করছেন।    
এছাড়া সমাবেশে অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু প্রমুখ।
এ দিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানযোগে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. কামাল। সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

Monday, October 22, 2018

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনার সাঈদা মুনা

                                                                           
সাঈদা মুনা তাসনিম (ছবি : সংগৃহীত)
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাঈদা মুনা তাসনিম। এর আগে তিনি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
সোমাবার (২২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় জানানো হয়, সাঈদা মুনা তাসনিম যুক্তরাজ্যে নাজমুল কাওনাইনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
এর আগে সাঈদা মুনা তাসনিম জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্ব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিসিএস একাদশ ব্যাচের কর্মকর্তা।
এ ছাড়া ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ ও বহিঃপ্রচার অণুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তাসনিম ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়া শেষে ইউনিভার্সিটি অব অব লন্ডন থেকে পাবলিক পলিসি ও ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর  ১৯৯৩ সালে তিনি পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন।   আরো জানতে .......

হার না মানা এক নারীর গল্প

                                                       
৩৯ বছর দেবহাটার ইছামতি নদীতে জাল টেনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন ছকিনা খাতুন

জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক নারী ছকিনা খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর দীর্ঘ ৩৯ বছর দেবহাটার ইছামতি নদীতে জাল টেনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। মাছ ধরেই তার একমাত্র ছেলের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করছেন।
ছকিনা খাতুন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ নাংলা গ্রামের মৃত আকবর আলীর স্ত্রী। একই গ্রামের এক গরীব পরিবারে ১৯৬৮ সালে তার জন্ম। অভাবের তাড়নায় পড়ে ছোটবেলা থেকে নদীতে মাছ ধরতে-ধরতে বেড়ে ওঠেন তিনি। অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে পড়ালোখাও বেশি দূর গড়ায়নি। অল্প বয়সেই হয়ে যায় বিয়ে।
কিন্তু বিয়ের পরও তিনি সুখের সন্ধান পাননি। বিয়ের মাত্র কয়েক বছেরর মধ্যে সন্তান সম্ভবা অবস্থায় তার স্বামী মারা যান। আর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মূলত শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম।
ছকিনা খাতুন জানান, তিনি অত্যন্ত গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অভাবের সংসারে অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে বেশিদূর পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে ছোট বেলাতেই তিনি নদীতে জাল টেনে রেণু পোনা ধরা শুরু করেন। 
তিনি আরও জানান, রেণু পোনা ধরে তিনি দিনে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা আয় করেন। ঐ রেনু পোনাগুলো তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। সেখান থেকেই তার নদীর সাথেই জীবনের সম্পর্ক হয়ে যায়। পরে তার পিতা মাতা আকবর আলীর সাথে তার বিবাহ দেন। তার বৈবাহিত জীবনে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তিনি জাল টেনে মাছ ধরা বন্ধ করেননি। কয়েক বছর পরে তার স্বামী মারা যান। আবারও তার জীবনে নেমে আসে দুর্বিসহ অন্ধকার। সংসারের খরচ ও আর ছেলের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু নদীতে মাছ ধরেই তার কোনো রকমে সংসারটি চলতে থাকে। জীবনের প্রয়োজনে তিনি আর পিছু ফিরে তাকাননি। 
ছকিনা খাতুন জানান, কখনো ভোরবেলা থেকে দুপুর পর্যন্ত আবার কখনো দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে জাল টেনে মাছ ধরেন। এভাবে তিনি একসময় এলাকার অন্য অস্বচ্ছল নারীদের জন্যও অনুকরণীয় হয়ে ওঠেন। তার এলাকার এবং আশেপাশের অনেক মহিলা ও পুরুষ এখন এই ইছামতি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই নদীর সাথের মিশে আছে তাদের ভালো মন্দ, সংসার ও দৈনন্দিন কাজকর্ম। 
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সন্তানের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে পারেন এতেই অনেক খুশি ছকিনা খাতুন। তার আশা তার সন্তান একদিন মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবে। সেদিন তার সকল দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে।